Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

Sunday, January 25, 2015

গুলশান-বনানী দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মডেলরা, মধুচক্রের জালে জড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেটাররা

ডেস্ক : নাম  রাইসা (ছদ্মনাম), বাড়ি পঞ্চগড় জেলাতে। ঢাকা এসেছিলেন পড়তে। কিন্তু ঢাকার শোবিজের ঝলকানি তাকে পড়ালেখায় নয়, উৎসাহিত করেছে মডেলিংয়ে। অনেক  চেষ্টায় দুই একটি মিউজিক ভিডিও, দুটি সিনেমাতে সহ-অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় জুটেছে কপালে। আর সেই এতটুকু প্রাপ্তিতেই নিজের নামের পাশে অ্যাকট্রেস যোগ করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন গুলশান-বনানী আর ধানমন্ডির তথাকথিত উচ্চস্তরে। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোক- কে নেই তার বন্ধু তালিকায়!  এই তালিকাতে এখন যোগ হয়েছে সদ্য নাম কামানো বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারও। রাইসার গ্রামের বাড়িতে এখনও ঠিক মতো খাওয়া না জুটলেও ঐসব বন্ধুদের কল্যাণে প্রতিদিন তার খাওয়া হচ্ছে অভিজাত রেস্তরাঁতে। রূপের সঙ্গে প্রভাব-প্রতিপত্তি কোন কিছুরই অভাব  নেই এই সি গ্রেডের মডেল ও অ্যাকট্রেসের। এমনই নামসর্বস্ব মডেলরা এখন মায়াজাল ছড়িয়ে চষে বেড়াচ্ছে ঢাকার শোবিজ এরিয়া। তবে এখন তাদের সহজেই অর্থ উপার্জনের অন্যতম শিকারের নাম উঠতি ক্রিকেটার। শুধু উঠতি ক্রিকেটাররাই নয়, জাতীয় দলে খেলেছেন এমন কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারকেও এই ধরনের মডেলদের বন্ধু তালিকায় দেখা যায়। তাদের নিয়ে ধানমন্ডি লেক, গুলশানের নামীদামি রেস্তরাঁ, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি- এমনকি বিদেশ ভ্রমণের ঘটনাও প্রতিনিয়ত। অভিযোগ রয়েছে জাতীয় দলের এক তারকা ক্রিকেটার এমনই একজন সি গ্রেডের মডেলের সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছেন লালমাটিয়ার একটি ফ্ল্যাটে। রংপুর বিভাগের এক সাড়া জাগানো ক্রিকেটার ফর্ম হারিয়ে এখন মাঠের বাইরে। এই ঘটনাগুলো এখন আড়াল থেকে প্রকাশ্যে এসেছে। বিশেষ করে জাতীয় দলের তারকা পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে এক অভিনেত্রীর ধর্ষণ মামলার পর।PM
অনূর্ধ্ব-১৯, এ দল ও বিভিন্ন লীগ চলাকালে দূরদূরান্ত থেকে ঢাকায় বড় ক্রিকেটার হতে ছুটে আসেন অনেক তরুণ। খেলার জন্য তাদের আশ্রয় নিতে হয় বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় কিংবা মেসে। আবার এক সঙ্গে অনেকেই ঢাকাতে বাসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু এই সব তরুণ বড় ক্রিকেটার হওয়ার আগেই নিজেদেরকে ধরে রাখতে পারছে না নৈতিকতার বাঁধনে। জড়িয়ে পড়ছেন এইসব সি গ্রেডের মডেলদের জালে। অল্প কিছু দিন আগেই জাতীয় দলের সদ্য সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারের সঙ্গে ছবি তুলে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এক সি গ্রেডের মডেল। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই তরুণ ক্রিকেটার এই ছবি দেখে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আসলে আমার সঙ্গে ফ্যান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আরেক বন্ধু। তারপর সে আমার বন্ধু হতে চায়। পড়ে ফেসবুকে বেশ কিছুদিন চ্যাটিংয়ের পর ধানমন্ডিতে আসতে বলে। সেখানে ফ্যান হিসেবেই সে বেশকিছু ছবি আমার সঙ্গে তোলে। পরে  সেই ছবি ছড়িয়ে দেয় ফেসবুকে। তবে শেষ পর্যন্ত আমার অন্য বন্ধুদের চাপে সে সেই ছবি ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেয়।’
কিন্তু এমন প্রতারণার শিকার অনেক ক্রিকেটারই মান-সম্মানের ভয়ে মুখ খোলেননি। প্রতিনিয়ত এই সব সি-গ্রেডের মডেলরা ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁদ পেতে রাখে উঠতি আর তারকা ক্রিকেটারদের জন্য। আর সেই ফাঁদে খুব সহজেই ধরা দেন উঠতি ক্রিকেটাররা। এই ক্রিকেটার আর সি গ্রেডের মডেলদের বেশির ভাগকেই দেখা যায় ধানমন্ডি-৮ নম্বর লেক, রবীন্দ্র সরণি, গুলশান কেএফসি, পিজাহাটে। এছাড়াও সময় কাটাতে চলে যান কক্সবাজার ও সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে। ক্রিকেট খেলে আয়ের বড় অংশটাই উঠতি ক্রিকেটাররা ব্যয় করেন এইসব সি- গ্রেডের মডেলদের পেছনে। একটু পরিচিত ক্রিকেটাররা অবশ্য এতটা খোলামেলা ভাবে ঘুরে বেড়ান না। তাদের আড্ডা হয় নিজের অথবা বন্ধুদের ফ্ল্যাটে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিপক্ষে অভিযোগেও এই সব বিষয়ে সত্যতার  অনেকটা প্রমাণ মেলে। রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘রুবেলের সঙ্গে পরিচয়ের তিন মাসের মধ্যেই ও আমাকে ওর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানেই ও আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। তবে ও যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলো তখন আমি একদিন রাত  সাড়ে ১২টায় ওর বাসায় যাই। সেখানে আমি গিয়ে দেখি ওর সঙ্গে আরও দুটি মেয়ে। রুবেল সহ তিন জনই মাতাল।’
উঠতি ও কিছু তারকা খেতাবধারী ক্রিকেটারের নামে এমন অভিযোগ অবশ্য আগেও ছিল। তবে ধীরে ধীরে বিষয়গুলো এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। তবে এই জন্য দায়ী অবশ্য সেই সি গ্রেডের উঠতি মডেলরাই। কারণ তাদের অর্থ রোজগারের অন্যতম ভরসা এখন এই সব উঠতি ক্রিকেটার, যারা নীতি- নৈতিকতা হারিয়ে সহজেই ধরা পড়েন এই সব মডেলদের খপ্পরে।

কোয়েল মল্লিকের নগ্ন ভিডিও (ভিডিওসহ)

ডেস্ক : কোয়েল মল্লিকের জন্ম ২৮শে এপ্রিল, ১৯৮২। ভারতীয় বাংলার একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী। তিনি বিখ্যাত অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে।
কোয়েল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করে। তাঁর পিতার নাম রঞ্জিত মল্লিক ও মাতার নাম দীপা মল্লিক। তিনি মেয়েদের মর্ডার্ণ হাই স্কুল থেকে তাঁর স্কুলজীবন অতিবাহিত করেন। তিনি মনোবিজ্ঞান বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত গোখালে বালিকা মেমোরিয়াল কলেজ হতে বি.এস.সি (অনার্স) করেন।
ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তে কোয়েল মল্লিকের সাথে তাঁর দীর্ঘসময়ের বন্ধু নিসপাল সিংহ রানের[ বিয়ে হয়েছে।[ নিসপাল সিং রানে সুরিন্দার ফিল্মস-এর কর্ণধার। তাঁর সাথে কোয়েলের দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল।[ বিয়ের অনুষ্ঠানও হয়েছে পাঁচ দিন। ছিল আশীর্বাদ, সংগীত, গায়েহলুদ, বিয়ে, বউভাত। বিয়ে হিন্দু ও পাঞ্জাবি দুই নিয়মেই পালিত হয়। অনুষ্ঠানে পশ্চিম বাংলার অনেক প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
কোয়েল মল্লিকের পর্দায় প্রথম আবির্ভাব নাটের গুরু সিনেমায় বিখ্যাত ভারতীয় বাংলা অভিনেতা জিতের বিপরীতে। নাটের গুরু বক্স অফিসে খুবই বিখ্যাত হয়। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির মাধ্যমেই টলিউডে কোয়েলের পদার্পন ঘটে। এই ছবিতে জিৎ প্রধান অভিনেতা চরিত্রে অভিনয় করে। কোয়েল মনিকা নামক ২৩ বছর বয়সী এক মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে। এই ছবির পর থেকে জিৎ-কোয়েল জুটি এক জনপ্রিয় জুটি হিসেবে বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয় করে (প্রায় ১১টি ছবিতে)।[ ২০০৪ সালে কোয়েল দেবীপক্ষ, শুধু তুমি, বাদশাহ্‌, বন্ধন ছবিতে অভিনয় করে। প্রথম দুটি ছবি বক্স অফিসে তেমন কিছু করতে না পারলেও বাদশাহ্‌ খুবই হিট হয় এবং বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার তকমা পায়। ২০০৪ সালের অন্যতম বিখ্যাত ছবিও এটা PM২০০৫ সালে কোয়েল শুভ দৃষ্টি, মানিক, যুদ্ধ, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই ছবিতে অভিনয় করে। যুদ্ধ ছবিতে সে মিঠুন চক্রবর্তী ও দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে অভিনয় করে। ছবিটি প্রথম সপ্তাহে ১.২ কোটি টাকা আয় করে। ২০০৬ সালে আরো গুরুত্বপূর্ন চরিত্রে, একজন সাংবাদিক হিসেবে এম.এল.এ ফাটাকেষ্ট ছবিতে অভিনয় করে। সে ১৯৭০ সালে নির্মিত লাভ স্টোরির পুননির্মান লাভ ছবিতে ২০০৮ সালে অভিনয় করে। ২০০৯ সাল হতে কোয়েল নানা বিখ্যাত ছবি যেমন বলো না তুমি আমার, দুই পৃথিবী, পাগলু, ১০০% লাভ, হেমলক সোসাইটি, পাগলু ২ সহ আরো নানা ছবিতে অভিনয় করে। ২০১১ সালে দেব-কোয়েল জুটি রাজিব বিশ্বাস পরিচালিত ও সুরিন্দার ফিল্মস প্রযোজিত পাগলু ছবিতে অভিনয় করে। এই ছবিটি চ্যালেঞ্জ ২ (অক্টোবর, ২০১২) এর আগ পর্যন্ত মুক্তির প্রথম দিনে সর্বাধিক দর্শক দেখার রেকর্ড করে। স্টার জলসায় যেদিন এই ছবিটি দেখানো হয়, সেদিন এই ছবিটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ টি.আর.পি (প্রায় ১২.২৫) আয় করে। এই ছবি টি.আর.পি যুদ্ধে থ্রি ইডিয়টসকেও পিছনে ফেলে দেয়। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে এই ছবিটি ১৬৬টি সিনেমা হলে এবং ২য় সপ্তাহে ১৬৯টি থিয়েটারে মুক্তি পায়। ১৩ই জুন, ২০১১ পর্যন্ত এর ম্যাটিনি শো ৫ কোটি টাকা আয় করে। এই ছবিটি ছিল বিনোদনমূলক। এর গান, অভিনয় সবকিছুই ছিল অসাধারণ। এই ছবি বাংলায় এতই বিখ্যাত হয় যে সালমান খানের রেডি ছবিকেও এটি পেছনে ফেলে দেয়। এর পর এই জুটি পাগলু ২ ছবিতেও অভিনয় করে। এছাড়াও এই জুটি আরো নানা ব্লকবাস্টার ছবিতে অভিনয় করে।
টেলিভিশন
কোয়েল কথা ও কাহিনী টক-শোর মাধ্যমে টেলিভিশনে তাঁর পদার্পন ঘটায় ও ইটিভি বাংলায় রিয়েলেটি শো ঝলক দিখলা ঝা বিপরীতে রেমো ডি’ সুজার সঙ্গে।
কোয়েল বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হিসেবে টিভিএস মোটর কোম্পানী, ফেয়ার এন্ড লাভলী, প্যানাসনিক, ভ্যাসলিন প্রভৃতি পণ্যের বিজ্ঞাপন করে।

সত্যি ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল!’(ভিডিওসহ)

প্রথমবার্তা, ডেস্ক : বন্ধুকে লোক লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করতে তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন পপস্টার সেলেনা গোমেজ। গত ১১ ই জানুয়ারী গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের শেষে হঠাতই পোশাকের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন গোমেজের বন্ধু, সুপার মডেল কারা ডেলেভিঞ্জ।কিন্তু পরে সেই মুহূর্তের ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন গোমেজ।
ছবিতে দেখা গিয়েছে, বন্ধুর পোশাক বিভ্রাট রুখতে তাঁকে নিজের কোলে বসিয়ে নিয়েছেন গোমেজ। সেইসঙ্গে নিজের হাতে ঢেকে দিচ্ছেন বন্ধুর প্রায় উন্মুক্ত বক্ষবিভাজিকা।
PMকিন্তু একইসঙ্গে বন্ধুর সম্মান রক্ষা ও সেই ছবি ইন্সাটাগ্রামে দেওয়ার মত দুটো বিপরীতধর্মী কাজ তিনি কেন করলেন, তা বোঝা গেলনা। সত্যি ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল!’

Saturday, January 24, 2015

নতুন ভিডিও ফাঁস সানি লিওনের !

PM
sany Leon

একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিনের কভার পিকচারের জন্যই ফোটোশ্যুট করেছেন তাঁরা। সেই ফটোশ্যুটের ভিডিওই অনুরাগীদের জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্ট করেছেন প্রাক্তন পর্নস্টার।

বোল্ড ছবির জন্য বলিউডে বিখ্যাত সানি লিওন। এবার তাঁর ভক্তদের নতুন এক সাহসী ভিডিও উপহার দিলেন তিনি। ফেসবুক পেজে নতুন কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন বেবি ডল। সঙ্গে একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করেছেন তিনি।
ভিডিওটিতে সানির সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবরকেও। তাঁদের দুজনকেই ঘনিষ্ট অবস্হায় দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে।

প্রসাধনীর সঙ্গে যত স্বাস্থ্যহানি!


     
অনেক লিপস্টিকেই লিড ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আসলে এক ধরনের নিউরোটক্সিন এবং অল্প মাত্রাতেও এটা ক্ষতিকর হতে পারে। ছবিটি প্রতীকী।লিপস্টিক, মাশকারা, ফেয়ারনেস ক্রিম থেকে শুরু করে সাবান, শ্যাম্পু মায় টুথপেস্টেও যদি স্বাস্থ্যহানিকর সব রাসায়নিক মেশানো থাকে তাহলে আমরা যাব কোথায়? কসমেটিকস বা প্রসাধনী পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধের দাবি দীর্ঘদিনের। এমনকি তথাকথিত হারবাল ও অর্গানিক প্রসাধনীও ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত এমন প্রসাধনী ব্যবহারে নানা জটিল অসুখ-বিসুখ থেকে শুরু করে মরণব্যাধি ক্যানসারও হতে পারে! এক প্রতিবেদনে প্রসাধনীর সঙ্গে থাকা স্বাস্থ্যহানির নানা আশঙ্কার কথা জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
প্যারাবেনস: ময়েশ্চারাইজার, স্কিন স্ক্রাব ও ডিওডেরান্ট
প্রসাধনী শিল্পের বেশির ভাগ পণ্যেই স্থায়িত্বের জন্য বা ‘প্রিজারভেটিভ’ হিসেবে প্যারাবেনস নামের একটি স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। নানা ধরনের ময়েশ্চারাইজার, স্কিন স্ক্রাব ও ডিওডেরান্টে প্যারাবেনসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
এ প্রসঙ্গে মুম্বাইয়ের দ্য স্কিন ক্লিনিকের ডারমাটোলজিস্ট ও কসমো ফিজিশিয়ান মাধুরী আগরওয়াল বলেন, ক্ষতিকর এই রাসায়নিকটি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া রিপ্রোডাকটিভ টক্সিসিটি, ইমিউনো টক্সিসিটি ও নিউরো টক্সিসিটির ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে প্যারাবেনস।
ডিওডেরান্ট ও ময়েশ্চারাইজারসহ নানা প্রসাধনীতে থাকা প্যারাবেনস আমাদের ত্বকের লোমকূপগুলো দিয়ে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে। সহজেই রক্ত প্রবাহের সঙ্গে মিশে যায় এই প্যারাবেনস। একদিকে লোমকূপ দিয়ে ঘামের সঙ্গে শরীরের দূষিত বর্জ্য বের হওয়া বন্ধ করে স্বাস্থ্য হুমকি তৈরি করে এবং অন্যদিকে রক্তে মিশে গিয়ে নিজেই মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে এই প্যারাবেনস।
হাইড্রোকুইনোন: ফেয়ারনেস ক্রিম ও স্কিন ব্লিচিং পণ্য
হাইড্রোকুইনোন একধরনের সুগন্ধি জৈব উপাদান। এটা এক প্রকার ফেনোল বা কার্বলিক অ্যাসিডের মতো শক্তিশালী রাসায়নিক। সাধারণভাবে রং ফরসা করার ক্রিম হিসেবে পরিচিত ফেয়ারনেস ক্রিম এবং ত্বকের নানা প্রসাধনীতে এ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
নয়াদিল্লির ইশিরা স্কিন ক্লিনিকের ডারমাটোলজিস্ট অমিত লুথরা বলেন, ‘হাইড্রোকুইনোন মারাত্মক অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে এবং দীর্ঘদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে এটা ত্বকে এক ধরনের নীলচে-ধূসর রঙের প্রলেপ ফেলে দিতে পারে, যা কখনোই চিকিৎসায়েও সারে না।’

শ্যাম্পু এবং বাবল-বাথ প্রোডাক্টস বা গোসলের নানা ধরনের পণ্যে বিপুলভাবে ব্যবহার করা হয় সোডিয়াম লরেথ সালফেট নামের স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক। ছবিটি প্রতীকী।শ্যাম্পু এবং বাবল-বাথ প্রোডাক্টস বা গোসলের নানা ধরনের পণ্যে বিপুলভাবে ব্যবহার করা হয় সোডিয়াম লরেথ সালফেট নামের স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক। ছবিটি প্রতীকী।অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাসহ, বুকে ব্যথা এবং মুখ ও জিহ্বা ফুলে ওঠার সমস্যাও তৈরি হতে পারে হাইড্রোকুইনোনসমৃদ্ধ প্রসাধনীর নিয়মিত ব্যবহারের কারণে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই রাসায়নিকের প্রভাবে মেলানিন কমে গিয়ে ত্বকে অতি-বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি এ থেকে ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কাও আছে।
সোডিয়াম লরেথ সালফেট: শ্যাম্পু, সাবান, টুথপেস্ট
শ্যাম্পু এবং বাবল-বাথ প্রোডাক্টস বা গোসলের নানা ধরনের পণ্যে বিপুলভাবে ব্যবহার করা হয় এই সোডিয়াম লরেথ সালফেট নামের রাসায়নিকটি। সাবান-শ্যাম্পুতে ফেনা তৈরিকারী পরিষ্কারক উপাদান হিসেবে এটা ব্যবহার করা হয়। মেঝে পরিষ্কারক হিসেবে আমরা যেসব পণ্য ব্যবহার করি, সেগুলোর মতো এমনকি টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশেও থাকে মারাত্মক রাসায়নিক সোডিয়াম লরেথ সালফেট।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাধুরী আগরওয়াল বলেন, ‘মানুষ যা জানে না, তা হলো এটা ত্বকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।’
প্যারা-ফেনিলেনেডিয়ামাইন, মারকারি ও লিড
হেয়ার ডাই, হেয়ার কালার, লিপস্টিক ও মাশকারায় ব্যবহার করা হয় এসব রাসায়নিক। সাধারণ দোকান থেকেই কিনুন কিংবা কোনো অভিজাত সেলুন থেকে, চুলের রং কেনার আগে দেখে নিন মোড়কের গায়ে প্যারা-ফেনিলেনেডিয়ামাইন (পিপিডি) উপাদান ব্যবহারের কথা লেখা আছে কি না, থাকলে সেটা না কেনারই পরামর্শ দেবেন চিকিৎসকেরা। আজকাল এমনকি বাজারের নানা মেহেদিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে এ রাসায়নিক।
মুম্বাই স্কেচ ক্লিনিকের ডারমাটালোজিস্ট স্বাতী শ্রীবাস্তব বলেন, ‘পিপিডির মতো মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়ানিক চুলের রঙে ব্যবহার করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন এসব পণ্য ব্যবহারে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, লিপস্টিকের দিকে নজর রাখুন। কেননা অনেক লিপস্টিকেই লেড ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আসলে এক ধরনের নিউরোটক্সিন এবং অল্প মাত্রাতেও এটা ক্ষতিকর হতে পারে। লিপস্টিকে এই উপাদানের ব্যবহার থেকে ভাষা ও আচরণগত সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া মাশকারাতে থাকা পিজারভেটিভের কারণে কিডনির অসুখ হতে পারে।

লিন্ডসে হাসপাতাল ছাড়লেন

বিরল চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে লন্ডনের কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি হন হলিউডের অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান। সম্প্রতি কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৮ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেত্রী।

মশার কামড় থেকে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ছড়ায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ফুসকুড়ি, ক্লান্তিসহ আরও নানা উপসর্গ দেখা দেয়। এ রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই এবং এর উপসর্গগুলো এক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। লিন্ডসে প্রথম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন গত ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে। অসুস্থ হওয়ার পর হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না তিনি। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টিএমজি।
লিন্ডসে এখন লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। প্রশান্ত মহাসাগরের বোরা বোরা দ্বীপে অবকাশযাপনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই মশার কামড় থেকে তিনি চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হন। শুরুর দিকে রোগের উপসর্গ দেখা না দেওয়ায় তিনি বোরা বোরা থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে যান একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংয়ের কাজে। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে লন্ডনে ফেরার পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা ও প্রচণ্ড জ্বর হওয়ায় গত সপ্তাহে লন্ডনের কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লিন্ডসেকে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠায় সম্প্রতি হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি পান। হাসপাতাল ছাড়লেও একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

কোকো মারা গেছেন

আরাফাত রহমান কোকো। ফাইল ছবি
Arafat Rahman KOKO

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। আজ শনিবার মালয়েশিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রথম আলোকে আজ শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শাইরুল কবির খানও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে তাঁরা বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।